শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার ॥
গেল ১৬ মাস রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় ও ত্রাণ ব্যব¯া’পনায় নিয়োজিত ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা কাজ করেছেন অ¯া’য়ী কার্যালয় থেকে। অবশেষে নিজস্ব ¯া’য়ী অফিস পেয়েছেন ক্যাম্প-ইন-চার্জরা। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর সহযোগিতায় ৩০টি অফিস কমপ্লেক্স নির্মাণ করে দিয়েছে ব্র্যাক। এই অফিস কমপ্লেক্সগুলোতে রয়েছে ক্যাম্প-ইন-চার্জদো থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থাও। কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে ক্যাম্প-৪ এর বর্ধিত অংশে এক অনুষ্ঠানে এই অফিসগুলো উদ্বোধন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: মোহাম্মদ এনামুর রহমান। এসময় তিনি রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বিভিন্নকর্মকা- পরিচালনার জন্য ব্র্যাক ও ইউএনএইচসিআর-কে অভিনন্দন জানান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মোহাম্মদ শাহ কামাল, শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের প্রধান মো. আবুল কালাম, এনডিসি, কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআর-এর প্রধান মারিন ডিন কাজ্ডম্কাজ্, এবং ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির প্রধান মো. আবদুস সালাম। ক্যাম্প-৪ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীমুল হক পাভেল জানান, “যখন আপনি রোহিঙ্গাদের জন্য বিশাল এই ক্যাম্পগুলোতে কাজ করবেন তখন যোগাযোগের সুবিধার্থেই ক্যাম্পগুলোর কেন্দ্রেএকটি কার্যালয় দরকার। এই কমপ্লেক্সগুলো সেই অভাব পূরণ করবে”।
২০১৮ সালের জুলাই মাসে সরকার ও ইউএনএইচসিআর-এর সার্বিক সহায়তায় উদ্যোগটি শুরু হয়। ছয় মাসের এই প্রকল্পে স্থপতি ও প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ দল নিযুক্ত করে ব্র্যাক। ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির প্রধান মো. আবদুস সালাম বলেন, “এতো কম সময়ে দেড় লাখ স্কয়ার ফিট আবাসনের কাজ শেষ করা সত্যিই কঠিন এক চ্যালেঞ্জ ছিল।
তবে ভবনগুলো কম খরচে উন্নত সামগ্রী দিয়ে এমনভাবে তৈরী হয়েছে যেন ভূমিকম্প ও সধাইক্লোনোর মতো প্রাকৃতিক দূর্যোগে অক্ষত থাকে”। প্রতিটি কমপ্লেক্সে রয়েছে ৬০ আসনের সভাকক্ষ, জেনারেটর এবং আলাদা গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যব¯া’।
পাঠকের মতামত: